২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার সাত মাস পর ত্রিদেশীয় সিরিজে আবারও বাংলাদেশ দলে ফিরেছিলেন নাসির হোসেন। ডাবলিনের ক্লনটার্ফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে সুযোগ মিলেছিলো একাদশেও। ৪৭ রানের খরচায় দুই উইকেট শিকার করলেও নামা হয়নি ব্যাটিংয়ে।
সিরিজ শেষ হতেই এক ম্যাচের সুখস্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। কেননা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখা হয়নি তাকে। রাতে ফিরে পরদিন সকালে ফতুল্লার মাঠে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে গাজী গ্রুপকে এনে দিয়েছেন দারুণ এক জয়। এরপর আবারও প্রশ্ন উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে কি রাখা যেত না নাসিরকে?
এ প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন পাল্টা প্রশ্নই ছুঁড়ে দিয়েছেন, কার জায়গায় খেলবে নাসির? গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাচ্ছে। একাদশের প্রায় প্রতিটা জায়গাতে এখন প্রতিযোগিতা হয়।
তাইতো দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ মিলছে না নাসিরদের মত প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতির ভাষ্য, ‘লিটন দাস ভালো খেলে সুযোগ পাচ্ছে না। ইমরুল কায়েসের পর্যন্ত সুযোগ হচ্ছে না। বিজয় সুযোগ পাচ্ছে না। রিয়াদকে ভালো খেলতে হচ্ছে নিয়মিত। ওর জায়গায় খেলতে কমপক্ষে চারজন খেলোয়াড় প্রস্তুত। নাসিরের মতো খেলোয়াড়ের দলে সুযোগ পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সে কার জায়গায় খেলবে? মিরাজ বাংলাদেশের সেরা অফস্পিনার, সুযোগ পাচ্ছে না সে-ও।’
যদিও বিসিবি সভাপতির কাছে পুরো ব্যাপারটাই তৃপ্তির। তিনি মনে করেন, প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের মাঝে এই সুস্থ প্রতিযোগিতার কারণেই বাংলাদেশ দল সাম্প্রতিককালে এতটা সফল। এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের বর্তমান এই সাফল্যের নেপথ্যে আছে খেলোয়াড়দের সুস্থ প্রতিযোগিতা, দলের প্রতিটি জায়গায় এই যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, পাইপলাইনে এখন অনেক খেলোয়াড়। আর নতুন ছেলেরা এসে পুরোনোদের সঙ্গে সমানতালে ভালো খেলছে, এটাই হচ্ছে আসল কারণ।’