ডাবলিনের সেই ওয়ালশই মুস্তাফিজদের কোচ

মালাহাইড, ডাবলিন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে এই মাঠেই দূর্জয়-নান্নুদের একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ। ওই একবারই সে মাঠে খেলেছে বাংলাদেশ দল। ১৮ বছরের মাথায় আবারও খেলতে যাচ্ছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এবারও আছেন ওয়ালশ। প্রতিপক্ষ নয়, দলের কোচ হয়ে।

ত্রিদেশীয় সিরিজে শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটায় ডাবলিনের মালাহাইডে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ভেন্যুতে অতীতে একবারই খেলেছে মাশরাফিদের পূর্বসূরিরা। প্রতিপক্ষ ছিলো দলের বর্তমান বোলিং কোচ ওয়ালশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার বোলিং তোপেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সাত উইকেটে হার মানে বাংলাদেশ।

সেই দলের একাদশে ছিলেন আকরাম খান, নাঈমুর রহমান দূর্জয়, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, খালেদ মাহমুদ, খালেদ মাসুদ পাইলট, হাসিবুল হোসেন প্রমুখরা। নেতৃত্বে ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছিলেন ব্রায়ান লারা, ওয়ালশ, শেরউইন ক্যাম্পবেল, রিডলি জ্যাকবস, জিমি অ্যাডামস, শিবনারায়ন চন্দরপল, ফিল সিমন্সের মতো সব কিংবদন্তিরা।

সেবার আগে ব্যাট করা বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে কোটার ১০ ওভার বল করে একটি মেইডেনসহ ২৫ রান খরচে চার উইকেট তুলে নেন ওয়ালশ। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মেহরাব হোসেন অপি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালক নাইমূর রহমান দূর্জয় খেলেছিলেন ৪৫ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ৪৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে ওই সময়ের বাংলাদেশ। জবাবে জ্যাকবস-অ্যাডামসের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৬.৩ ওভারে সাত উইকেটের জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

কোর্টনি ওয়ালশ ক্যারিয়ারে ২০৫ টি ওয়ানডে খেলেছেন। নিয়েছেন ২২৭ উইকেট। সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছেন ২০০ সালে। এরপর গেল বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। আন্তর্জাতিক কোন দলের কোচ হিসেবে এটাই তার প্রথম চাকরি।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান